description |
---|
Description |
সাধারণ বাংলাদেশীদের সাথে কথা বললে বেশীরভাগ সময়ই তাদের কাছ থেকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সমন্ধে নেগেটিভ এবং ভীতিকর মন্তব্য পেয়েছি। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে একেবারেই ভয়ের কিছু নেই, তা আমি অস্বীকার করছি না, তবে সেই সাথে আমাদের জানা প্রয়োজন এর ভালো দিক গুলি। এটি কিভাবে বর্তমানে ভালো ভূমিকা রাখছে যা এই প্রযুক্তি ছাড়া সম্ভব ছিল না। এছাড়া ভবিষ্যতে আরো কোথায় এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ভূমিকার রাখতে পারে তা আমাদের জানা প্রয়োজন।
চতুর্থ শিল্পবিপ্লব যাকে আমি "ডিজিটাল জামানা" বলে সজ্ঞায়িত করি, সেই যুগে টিকে থাকার জন্য আমাদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সমন্ধে ভালোমতন জানতে হবে। আজকের যুগে যেভাবে কম্পিউটার প্রযুক্তি আমাদের জন্য জানা অবশ্যম্ভাবি হয়ে পড়েছে, তেমনি এই "ডিজিটাল যুগে" আমাদেরকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা জানতে হবে।
আপনাদের মনে আছে নিশ্চয় আমরা যখন কম্পিউটার ব্যবহার করা শুরু করলাম তখনও আনেকেই বলেছে যে এই কম্পিউটার আমাদের সমাজের জন্য বিপদজনক, এবং তা অনেকের চাকুরি খেয়ে নিবে। সেই একই রকমই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়েও আমাদের সেই ভয়। এর একটি কারণ অবশ্যই আমাদের অজ্ঞতা। আবার দোষটা ঠিক আমাদেরও নয়, অন্য কারণটি হল এই সংক্রান্ত লেখা বাংলা ভাষায় খুব কম। আমাদের কাছে সেই তথ্যগুলি নেই। পজিটিভ তথ্যের থেকে ভয় এবং গুজব আমরা ছড়াতে ভালোবাসি এবং প্রকৃতিগত ভাবে তা দ্রুত ছড়ায়।
সেই প্রেক্ষাপটে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অন্যদিকগুলির সাথে পাঠকদের কাছে পৌছে দেবার জন্যই আমার এই উদ্দ্যোগ। এই সংক্রান্ত লেখালেখি ফেসবুক সহ অন্যান্য মিডিয়াতে লেখা এবং তা পরবর্তিতে একটু গুছিয়ে বই আকারে একটি বাস্তবিক আকার দেবার ইচ্ছে আছে।
একজন লেখক অনেক কারনেই লিখে। তবে আমি লিখি তা আমার নেশা বলে। একটি লেখা সমাপ্ত হবার পরে, আমি একটি অন্যধরনের প্রশান্তি অনুভব করি, যা ঠিক ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। লেখকরাই এই বিরল অভিজ্ঞতা পাবার সৌভাগ্য পায়। সেই অনুভুতি বার বার পাবার জন্যই লিখতে বসা।